কুয়েত ভিসা করার পর দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হবে ভিসা হাতে পাবার জন্য। কিন্তু আপনার যদি কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে তা জানা থাকে তাহলে ভিসা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
আপনি নিশ্চয়ই কুয়েত কাজের ভিসা বা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। এজন্য কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে তা জানতে চাচ্ছেন।
আজকের এই পোস্টে কুয়েত কাজের ভিসা ও টুরিস্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে তা জানতে পারবেন।
কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে ২০২৫
সাধারণত কুয়েত ভিসা পেতে ৭ দিন থেকে ২১ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। আবার কখনো কখনো কুয়েত ভিসা প্রসেসিং হতে ১ মাস পর্যন্ত লেগে যায়।
বর্তমানে কুয়েত টুরিস্ট ভিসা হাতে পেতে ৭ দিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। আর কুয়েত কাজের ভিসা হতে ২১-৩০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
কুয়েত কাজের বেতন কত?
সাধারণত কুয়েত কাজের বেতন কাজের ধরন এবং কাজের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। বর্তমান সময়ে কুয়েত কাজের বেতন ৬০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এছাড়া যারা কুয়েতে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছে তাদের বেতন ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আবার যারা ইলেকট্রিক, মেকানিক, টেকনিক্যাল কাজ করে তাদের বেতন প্রায় ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত?
কুয়েত কোম্পানি ভিসার থাকা খাওয়ার একদম ফ্রি। এ কারণে কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন একটু কম হয়ে থাকে।
বর্তমানে কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন ৫০,০০০ টাকা থেকে ৭০,০০০ টাকা। এছাড়া যারা অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মী তাদের বেতন ৮০,০০০ টাকা থেকে ৯০,০০০ টাকার কাছাকাছি।
কুয়েত সর্বনিম্ন বেতন কত?
কুয়েত একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ, যারা নতুন অবস্থায় কুয়েত কাজের উদ্দেশ্যে যায় তাদের বেতন প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি?
কুয়েত যাওয়ার আগে এদেশে কোন কোন কাজের চাহিদা অনেক বেশি তা জেনে নেওয়া ভালো। বর্তমানে কুয়েতে ক্লিনার, ড্রাইভিং, ডেলিভারি ম্যান, হোটেল-রেস্টুরেন্টে চাকরি, বিক্রয় প্রতিনিধি কাজের চাহিদা বেশি।
এছাড়া ইলেকট্রনিক, মেকানিক, কৃষিকাজ, নির্মাণ শ্রমিক ও টেকনিশিয়ান এর কাজ করে তাদের বেতনও মোটামুটি ভালো।