কম্বোডিয়া এশিয়া মহাদেশের একটি মধ্যে আয়ের দেশ। অধিকাংশ বাংলাদেশী কাজের ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া যেতে আগ্রহী। কম্বোডিয়া আগ্রহী প্রার্থীদের অবশ্যই কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা ধারণা রাখতে হবে।
কম্বোডিয়া এশিয়া মহাদেশের মধ্য আয়ের দেশ হলেও এদেশের কাজের বেতন অনেকটা বেশি। এ কারণে বেশিরভাগ প্রবাসী কম্বোডিয়া যেতে বেশি আগ্রহী থাকে।
আপনি যদি কম্বোডিয়া যেতে আগ্রহী থাকেন তাহলে কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে, কম্বোডিয়া বেতন কত ও কম্বোডিয়া যাওয়ার উপায় এসব সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে?
কম্বোডিয়া যেতে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগে। আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যান তাহলে ৩-৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
আবার যদি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা খরচ হবে। এছাড়া কম্বোডিয়া স্টুডেন্ট ভিসার দাম ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা।
কম্বোডিয়া কাজের ভিসার দাম কত?
বর্তমানে কম্বোডিয়া কাজের ভিসার দাম সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ, কাজের ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া যেতে ৩-৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
তবে বেসরকারিভাবে কম্বোডিয়া যাওয়ার খরচ অনেকটা বেশি। কেননা বেসরকারিভাবে কম্বোডিয়া যেতে সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেগে যায়।
কম্বোডিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত?
বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া যাচ্ছে। আপনিও যদি কম্বোডিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যান সেক্ষেত্রে ভিসার দাম, ফ্লাইট ভাড়া ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লাগবে।
সরকারিভাবে কম্বোডিয়া যাওয়ার উপায়
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে কম্বোডিয়া যাচ্ছে। তবে কম্বোডিয়া যাওয়ার জন্য অবশ্যই সরকারি মাধ্যম বেছে নিতে হবে। কেননা সরকারিভাবে কম্বোডিয়া ভিসার খরচ অনেক কম।
সরকারিভাবে কম্বোডিয়া যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে ভিসার জন্য অনলাইন কিংবা অফলাইনে আবেদন করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে ভিসার আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
তারপর ভিসা প্রসেসিং হতে কয়েক মাস সময় লাগবে। অতঃপর ভিসা প্রসেসিং শেষ হলে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ আপনার সাথে যোগাযোগ করে ভিসা হাতে ধরিয়ে দিবে।
কম্বোডিয়া যেতে কি কি লাগে?
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা এজেন্সিতে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়। কম্বোডিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হয় তা দেখে নিন।
- ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট;
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি;
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি;
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট;
- মেডিকেল রিপোর্টের কাগজ;
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট;
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
কম্বোডিয়া কাজের বেতন কত?
কম্বোডিয়া একজন শ্রমিকের কাজের বেতন সাধারণত কাজের ধরন এবং অভিজ্ঞতার উপরে নির্ভর করে। কম্বোডিয়া একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা।
এছাড়া যে সকল শ্রমিকের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের বেতন প্রায় ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এর পাশাপাশি যারা ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক্যাল, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করে তাদের বেতন প্রায় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো।
কম্বোডিয়া কাজের সর্বনিম্ন বেতন কত?
কম্বোডিয়া একজন শ্রমিকের কাজের সর্বনিম্ন বেতন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবার কোন কোন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা।
কম্বোডিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?
কম্বোডিয়া যাওয়ার আগে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে রাখা দরকার। কম্বোডিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি নিম্নে তা উল্লেখ করা হল:
- গার্মেন্টস;
- কনস্ট্রাকশন;
- ড্রাইভিং;
- ক্লিনার;
- কৃষি কাজ;
- ইলেকট্রিশিয়ান;
- মেকানিক্যাল;
- নির্মাণ শ্রমিক;
- হোটেল রেস্টুরেন্ট জব;
- ডেলিভারি ম্যান;
- বিক্রয় প্রতিনিধি।
FAQ’s
কম্বোডিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে?
কম্বোডিয়া যাওয়ার জন্য আবেদনকারীর বয়সসীমা ২১ বছর থেকে ৪০ বছর হতে হবে। তবে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর হলেই চলবে।
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত সময় লাগে?
বিমানে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে প্রায় ১০ ঘন্টা থেকে ১৪ ঘন্টা সময় লাগে।
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া বিমান ভাড়া কত?
কম্বোডিয়া থেকে বাংলাদেশ বিমান ভাড়া সর্বনিম্ন প্রায় ৬০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কম্বোডিয়া টাকার মান কত?
কম্বোডিয়া ১ টাকা সমান বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ০.০৩ টাকা।