এস্তোনিয়া ইউরোপ মহাদেশের ছোট্ট একটি দেশ। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই এই দেশে স্টুডেন্ট এবং কাজের ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহী। এস্তোনিয়া যেতে আগ্রহীদের অবশ্যই এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা জানতে হবে।
ইউরোপের উন্নত একটি দেশ এটি। এই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও অনেক ভালো। এ কারণে বিশ্বের অনেক দেশ হতে প্রতিবছর হাজার হাজার শ্রমিক এস্তোনিয়া পারি জমাচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া আগ্রহী প্রার্থীদের অবশ্যই এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে হবে। এর পাশাপাশি এস্তোনিয়া বেতন কেমন, যাওয়ার উপায় এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেগে যায়। অর্থাৎ, বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া ভিসার দাম সবমিলিয়ে ৫ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে টুরিষ্ট ভিসা নিয়ে এস্তোনিয়া যেতে চান সেক্ষেত্রে ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে। আবার স্টাডি বা স্টুডেন্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে ৬ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেগে যায়।
এছাড়া এস্তোনিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসার দাম ১২ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, কাজের ভিসা নিয়ে এস্তোনিয়া যেতে ১২-১৫ লক্ষ টাকা লাগে।
এস্তোনিয়া কাজের ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
এস্তোনিয়া কাজের ভিসায় যেতে সর্বনিম্ন ১২ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ পর্যন্ত টাকা লাগে। অর্থাৎ, আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে চান তাহলে ভিসার দাম পড়বে ১২ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।
তবে এস্তোনিয়া কোম্পানি যদি আপনাকে কাজের অফার করে অর্থাৎ, এস্তোনিয়া দেশ থেকে কাজের অফার লেটার পান সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে ৬ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা লাগে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু অসাধু ভিসা এজেন্সি এস্তোনিয়া কাজের ভিসার জন্য সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাবি করছে। এ কারণে অবশ্যই এস্তোনিয়া যেতে চাইলে সরকারিভাবে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে খরচ অনেক কম হবে।
এস্তোনিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা লাভ করার উদ্দেশ্যে এস্তোনিয়াতে যাচ্ছে। কেননা এদেশের শিক্ষার মান অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে স্টাডি বা স্টুডেন্ট ভিসায় এস্তোনিয়া যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ৬ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তবে যে সকল শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপ পাবে তাদের এস্তোনিয়া যেতে ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা হলেই চলবে।
এস্তোনিয়া ভিসা করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে
এস্তোনিয়া ভিসা করতে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এস্তোনিয়া ভিসা করতে কি কি কাগজপত্র লাগে তা জেনে নিন:
- ছয় মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট;
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি;
- আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি;
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট;
- আবেদনকারী স্টুডেন্ট হলে আইএলটিএস সার্টিফিকেট;
- অভিজ্ঞতা সনদ; (যদি থাকে)
- কাজের অফার লেটার।
মূলত এই কয়েকটি কাগজপত্র হলে আপনি এস্তোনিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া যদি অন্য কোন কাগজপত্র লাগে তাহলে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে।
এস্তোনিয়াতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
এস্তোনিয়া যাওয়ার পূর্বে এস্তোনিয়াতে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নেওয়া ভালো। তাই চলুন এস্তোনিয়াতে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নেই।
- ইলেকট্রিশিয়ান;
- মেকানিক্যাল;
- গ্রাফিক্স ডিজাইন;
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট;
- কৃষি ও গবাদি পশু পালন;
- হোটেল বা রেস্টুরেন্টে জব;
- শপিং মলের চাকরি;
- ক্লিনার;
- ডেলিভারি ম্যান।
এস্তোনিয়া বেতন কত?
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় এস্তোনিয়াতে কাজের বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি। সাধারণত একজন শ্রমিক এস্তোনিয়াতে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ থেকে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকে।
অর্থাৎ, এস্তোনিয়াতে একজন কর্মীর বেতন সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা। আবার কোন কোন কর্মী মাসে ২ লক্ষ টাকাও ইনকাম করে।
শেষকথা
বর্তমানে কিছু দালাল চক্র কম টাকার লোভ দেখিয়ে এস্তোনিয়া যাওয়ার জন্য নকল ভিসা হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। তাই এরকম প্রতারক চক্র হতে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।
অবশ্যই সরকারিভাবে এস্তোনিয়াতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে সর্বদা নিরাপদ থাকবেন। এছাড়া আজকের ব্লগ পোস্ট নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।